বছরে দুই ঈদ ছাড়াও আরো ঈদ থাকার দলীল

(১) হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র বিলাদত শরীফ, পবিত্র বিছাল শরীফ, পুনরুত্থান শরীফ প্রত্যেকটিই রহমত, বরকত ও সাকীনা অর্থাৎ ঈদ বা খুশি প্রকাশের কারণ। হযরত ঈসা রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ব্যাপারে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- 'উনার প্রতি সালাম (শান্তি), যে দিন তিনি বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেছেন এবং যেদিন তিনি বিছাল শরীফ গ্রহণ করবেন এবং যেদিন তিনি পুনরুত্থিত হবেন।' (পবিত্র সূরা মারইয়াম শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ১৫) আবার হযরত ইয়াহ্ইয়া আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্কে উনার নিজের বক্তব্য পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- 'আমার প্রতি সালাম যেদিন আমি বিলাদত শরীফ গ্রহণ করি, যে দিন আমি পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করি এবং যেদিন পুনরুত্থিত হবো।'
(পবিত্র সূরা মারইয়াম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৩)।

(২) পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে, হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সৃষ্টি, যমীনে তাশরীফ গ্রহণ ও পবিত্রতম বিছাল শরীফ গ্রহণ পবিত্র 'জুমুয়ার দিনে' হওয়ার কারণে পবিত্র জুমুয়ার দিনকে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পবিত্র ঈদুল আদ্বহা অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ও মহান বলে ঘোষণা করেছেন। (সুনানু ইবনি মাজাহ শরীফ, সুনানুদ দারিমী, মিশকাতুল মাছাবীহ ১২০ পৃষ্ঠা- প্রতিটি কিতাবের জুমুয়াহ অধ্যায় )। তাই
জুুমুয়ার দিন ঈদ হিসেবে বছরে ৫০ দিন ঈদ হয়। সুবহানাল্লাহ!

(৩) পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত আছে, পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ উনার পবিত্র ৩ নম্বর আয়াত শরীফখানার মাধ্যমে ইসলাম উনার পূর্ণাঙ্গতা ঘোষণা করা হয়েছে, সে পবিত্র আয়াত শরীফখানা নাযিলের দিনটি আরাফার দিন এবং জুমুয়ার দিন হওয়ায়, একসাথে দুই 'ঈদ' হিসেবে গ্রহণীয়। (পবিত্র তিরমিযী শরীফ কিতাবুত তাফসীর; হাদীস নম্বর ৩৩১৮, মুসলিম শরীফ কিতাবুত তাফসীর, সুনানে নাসায়ী কিতাবুল হজ্জ)
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট