সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ কি?
’সাইয়্যিদ’ অর্থ শ্রেষ্ঠ এবং ’আ’ইয়াদ’ হচ্ছে ঈদ বা খুশির বহুবচন। সূতরাং সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ অর্থ ’সকল ঈদের সাইয়্যিদ’। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষে ঈদ পালন বা খুশি প্রকাশ করাই হচ্ছে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ।
সুমহান বিলাদত শরীফ উনার তারিখঃ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার দিন হচ্ছে সম্মানিত ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ । এটাই সবচেয়ে ছহীহ ও মশহূর মত। হাফিয আবূ বকর ইবনে আবী শায়বাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছহীহ সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন- “হযরত আফফান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার হতে, তিনি হযরত ছালিম ইবনে হাইয়্যান রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে তিনি হযরত সাঈদ ইবনে মীনা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনারা বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘হস্তি বাহিনী’ বর্ষের ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ পবিত্র ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার শরীফ) সম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।”(ওয়াছ ছিহ্হাহ্ ওয়াল মাশাহীর-১/২৬৭, বুলূগুল আমানী শরহিল ফাতহির রব্বানী ২য় খন্ড ১৮৯ পৃষ্ঠা, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৩য় খন্ড ১০৯ পৃষ্ঠা)৷
অার এই ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ দিনটিই হচ্ছে সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ বা সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদের দিন৷ সুবহানাল্লাহ।
