পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার মধ্যে যে সব কর্মকাণ্ড সংগঠিত হয়

https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgEaDGfTB3GRhFiDWcY8DtZYAa6JwWsrXfyyR9g_OnHTixW_JqVUzzl6efZ2vvv7YTxPDCteFnkIwFiSdvb7pqGFyVRy_r4N4AcyJxXlodUUnUUwlSV4AxoT4X_Xg1Tlddqzwqn2HiG_A6a/s1600/IMG_20150311_002710.jpg

১। রাজারবাগ দরবার শরীফে মহান আল্লাহ পাক ও উনার পেয়ারা হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের হাক্বিক্বী মুহব্বত মুবারক শিক্ষা দেওয়া হয়,দুনিয়া তথা গইরুল্লাহর মুহব্বত থেকে বিরত থাকার শিক্ষা দেওয়া হয় ও সবাইকে আল্লাহওয়ালা-আল্লাহওয়ালী হওয়ার হাক্বিক্বী তা’লিম প্রদান করা হয়।এবং হক্বের উপর ইস্তেকামত থাকার শিক্ষা দেওয়া হয়।

২। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার হাক্কিক্বী শা’ন,মান,মর্যাদা-মর্তবা বুলন্দ করা হয় এবং সারা বিশ্বে দ্বীন ইসলাম উনাকে জিন্দা তথা প্রচার-প্রসারের কাজে দায়িমীভাবে মশগুল থাকা হয়।


৩। ২৪ ঘন্টা দায়িমীভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার পেয়ারা হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম,হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম,হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম,হযরত ছাহাবায়ে কিরাম
রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম,হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম আলাইহিমুস সালাম উনাদের সর্বোত্তম প্রসংশা মুবারক করা হয়।
 

৪। সমস্ত কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ট আমল,সর্বশ্রেষ্ট ইবাদত পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিশেষ বিশেষ দিবস সমূহ হাক্বিক্বীভাবে পালন করা হয়।
 

 ৫। সমস্ত কায়িনাতবাসীর হেদায়েতের জন্য ও দোজাহানে হাক্বিক্বী কামিয়াবীর জন্য তা’লিম-তালক্বীন প্রদান করা হয় ও
কাফের-মুশরিক তথা শত্রুদের সর্বপ্রকার কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার শিক্ষা দেওয়া হয়।
 

 ৬। সারা কায়িনাতের মধ্যে একমাত্র রাজারবাগ দরবার শরীফেই রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদর্শ মুতাবিক সর্বক্ষেত্রে খাছ সুন্নত মুবারক অনুসারে আমল করা হয়।যা সারা বিশ্বে আর কোথায়ও পাওয়া যাবে না।
 

 ৭। একমাত্র রাজারবাগ দরবার শরীফে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার খেলাফ বিন্দু মাত্র কোন হারাম- নাজায়িজ-বিদয়াত কাজ করা হয় না,কোন হারাম-নাজায়িজ কাজকে সমর্থনও করা হয় না,বরং হারামের বিরুদ্ধে বলা হয়। যেমন:- ছবি
তোলা,বেপর্দা হওয়া,টিভি চ্যানেল,গণতন্ত্র,রাজনীতি,হরতাল- লংমার্চ,খেলাধুলা,সুদ-ঘুস ইত্যাদি।


৮। এখানে মহিলাদের সেকশন আলাদা সেখানে ৫ বছরের উর্ধ্বে কোন ছেলে প্রবেশ করতে পারে না,পুরুষের সেকশন আলাদা সেখানে ৫ বছরের উর্ধ্বে কোন মেয়ে প্রবেশ করতে পারে না।
বিস্তারিত

প্রসিদ্ধ আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের দৃষ্টিতে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার গুরুত্ব ও ফযীলত

প্রসিদ্ধ আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের দৃষ্টিতে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার গুরুত্ব ও ফযীলত
১. হযরত ইমাম হাসান বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন –
“আমার একান্ত ইচ্ছা হয় যে, আমার যদি ওহুদ পাহাড় পরিমান স্বর্ণ থাকত তাহলে তা ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষ্যে ব্যয় করতাম। (সুবহানাল্লাহ্) (আন্ নেয়ামাতুল কুবরা)
২. হযরত ইমাম শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন –
“যে ব্যক্তি মীলাদ শরীফ পাঠ বা মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন উপলক্ষ্যে লোকজন একত্রিত করলো এবং খাদ্য তৈরি করলো ও জায়গা নির্দিষ্ট করলো এবং মীলাদ পাঠের জন্য উত্তম ভাবে (তথা সুন্নাহ ভিত্তিক) আমল করলো তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে আল্লাহ পাক হাশরের দিন সিদ্দীক শহীদ, সালেহীনগণের সাথে উঠাবেন এবং তাঁর ঠিকানা হবে জান্নাতে নাঈমে ।” (সুবহানাল্লাহ্) (আন্ নেয়ামাতুল কুবরা)
৩.হযরত মারুফ কারখী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন –
“যে ব্যক্তি ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষ্যে খাদ্যের আয়োজন করে, অতঃপর লোকজনকে জমা করে, মজলিশে আলোর ব্যবস্থা করে, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন নতুন লেবাস পরিধান করে,মীলাদুন্নবীর তাজিমার্থে সু-ঘ্রাণ ও সুগন্ধি ব্যবহার করে। আল্লাহ পাক তাকে নবী আলাইহিমুস্ সালামগণের প্রথম কাতারে হাশর করাবেন এবং সে জান্নাতের সুউচ্চ মাকামে অধিষ্ঠিত হবে।“ (সুবহানাল্লাহ্) (আন্ নেয়ামাতুল কুবরা)
৪.হযরত ইমাম সাররী সাক্বত্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন –
“যে ব্যক্তি মীলাদ শরীফ পাঠ বা মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করার জন্য স্থান নির্দিষ্ট করল সে যেন তার জন্য জান্নাতে রওজা বা বাগান নিদিষ্ট করলো। কেননা সে তা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুহব্বতের জন্যই করেছে। আর আল্লাহ্ পাক-এর রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি আমাকে ভালবাসবে সে আমার সাথেই জান্নাতে থাকবে।” (তিরমিযি, মিশকাত, আন নেয়ামাতুল কুবরা)
৫.সাইয়্যিদুত ত্বয়িফা হযরত জুনাইদ বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন –
“যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আয়োজনে উপস্থিত হল এবং উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করলো। সে তার ঈমানের দ্বারা সাফল্য লাভ করবে অর্থাৎ সে বেহেশ্তি হবে।” (সুবহানাল্লাহ্) (আন্ নি’মাতুল কুবরা)
বিস্তারিত